কি এই ভার্চুয়াল র্যাম-
ভার্চুয়াল র্যাম সম্পর্কে জানতে হলে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে র্যাম (RAM) কি?
র্যাম (RAM) এর পূর্ণ রূপ হলো Random Access memory, যা কম্পিউটার বা মোবাইলের ডাটা সংরক্ষণ এর মাধ্যম। কম্পিউটার বা মোবাইল এ দেওয়া আপনার কাজের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য র্যাম সংরক্ষণ করে রাখে। এতে করে অনেক দ্রুত আপনার ডিভাইস টি আপনার নির্দেশ অনুসারে প্রসেসর এর কাছে তুলে ধরতে পারে।
আর ভার্চুয়াল র্যাম এমন একধরনের র্যাম যা আপনার ডিভাইস এর যে হার্ড ডিস্ক বা ইন্টারনাল মেমরি রয়েছে সেটাকে র্যাম হিসাবে ব্যাবহার করে। এই প্রযুক্তিতে আমরা আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটার এর ইন্টারনাল মেমরি কে র্যাম হিসাবে ব্যাবহার করতে পারবো।
কিভাবে কাজ করে ভার্চুয়াল র্যাম-
আমরা যখন কম্পিউটার বা মোবাইল কিনে নিয়ে আসি; তখন আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইল এ একটা নির্দিষ্ট পরিমান র্যাম দেওয়া থাকে। হতে পারে সেটা ২জিবি, ৪জিবি,৬জিবি কিংবা ১৬জিবি, আর এই র্যাম আমাদের ডিভাইসটি কতটুকু দ্রুত কাজ করবে তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।
আমাদের ডিভাইস গুলো ব্যবহার করার সময় র্যাম ব্যাবহার করে থাকি।কাজ করার সময় যখন আমাদের ডিভাইস এ নির্দিষ্ট পরিমান র্যাম শেষ হয়ে যায় তখন ডিভাইসটি হ্যাং করা শুরু করে; আর এই হ্যাং সমস্যার সমাধানের জন্যই এই র্যাম ব্যাবহার করা হয়।
যখন কম্পিউটার বা মোবাইল এ থাকা র্যামের ধারন ক্ষমতার বাহিরে চলে যায় তখন অতিরিক্ত র্যাম হিসাবে ডিভাইসের ইন্টারনাল মেমরি থেকে স্টোরেজ নিয়ে কাজ করে থাকে ভার্চুয়াল র্যাম।
ভার্চুয়াল র্যামের সুবিধা ও অসুবিধা-
ভার্চুয়াল র্যাম এর সুবিধা-
ডিভাইসের অন অফ টাইম কমে আসবে।ফলে আগের তুলনায় দ্রুত চালু হবে।
বেরে যাবে আপনার ডিভাইস এর কাজ করার সক্ষমতা। ফলে কাজ হবে দ্রুততম সময়ে
হ্যাং এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন
কম্পিউটার এ ব্যাবহার করলে বেচে যাবে অতিরিক্ত র্যাম কেনার অর্থ
কম্পিউটার এ হার্ড ডিস্ক এর থেকে এস এস ডি ব্যবহার করলে আরো ও দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবেন
ভার্চুয়াল র্যাম এর অসুবিধা-
আপনার ডিভাইস এর ইন্টারনাল মেমরি কমে যাবে
র্যাম বাড়লেও কতটুকু বেড়েছে জানতে পারবেন না।