রোববার ভারতের এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেমের কোনো ফোন মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কাজ করবে না।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ অপারেটিং সিস্টেম থেকে তাদের সব ধরনের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ব্ল্যাকবেরি ভক্ত গ্রাহক ও সহযোগীদের ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ হিসেবে আরও কিছুদিন সফটওয়্যার হালনাগাদ করার সুবিধা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সেই সুবিধা ৪ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে।
অবশ্য ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ডের যেসব ফোনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চলছে, সেগুলো ঠিকঠাকমতোই চলবে। কেবল ব্ল্যাকবেরি ওএসচালিত ফোন ব্যবহারকারী সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন।
ব্ল্যাকবেরি তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ৪ জানুয়ারি থেকে ব্ল্যাকবেরি ৭.১ ওএস বা এর আগের সংস্করণ, ব্ল্যাকবেরি ১০ সফটওয়্যার, ব্ল্যাকবেরি প্লেবুক ওএস ২.১ বা তার আগের সংস্করণ আর ঠিকমতো কাজ করবে না। এর অর্থ হচ্ছে ব্ল্যাকবেরি ফোনে আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া ফোন করা, বার্তা পাঠানো বা জরুরি প্রয়োজনীয় নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করার সুবিধা থাকবে না। এর অর্থ পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়বে ব্ল্যাকবেরি ফোন।
কানাডার ওয়াটারলুভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বাজার ধরার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালায়। ২০১৩ সালে পুরোনো ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম বাদ দিয়ে ব্ল্যাকবেরি ১০ বাজারে আনে। তারা অ্যাপলের আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের টানতে নানা ফিচার যুক্ত করেছিল। কিন্তু গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে চলে যায়। ২০১৬ সালে টিসিএল ও ভারতের অপটিমাস নামের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ব্ল্যাকবেরি। এর আওতায় এ দুটি প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবেরি ফোন তৈরি শুরু করে।
২০২০ সালে টিসিএল ব্ল্যাকবেরি ফোন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। ব্ল্যাকবেরির কাছ থেকে ব্র্যান্ড লাইসেন্স কেনা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর এ ব্র্যান্ডের কোনো ফোন আনেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অনওয়ার্ড মবিলিটি ২০২০ জানিয়েছিলে, তারা ২০২১ সালে ৫জি সুবিধার ব্ল্যাকবেরি ফোন আনবে। কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি।
ব্ল্যাকবেরি ফোন বন্ধ হলেও এ ব্র্যান্ডটি এখনো বিলুপ্ত হচ্ছে না। বর্তমানে ব্ল্যাকবেরি সরকার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা সফটওয়্যার তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।