আমরা অনেকেই গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ বানিয়ে App Publish টাকা ইনকাম করতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই প্রসেস টা জানিনা। কি কি প্রয়োজন হয়? কিভাবে কি করতে হয়?
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সবাই জানার চেষ্টা করব। কিভাবে App Publish করা হয় এবং কি কি জিনিস প্রয়োজন হতে পারে অ্যাপ পাবলিশ করার জন্য
এপ বানাতে হলে কি কি জিনিস আপনার প্রয়োজন?
আপনার মোবাইল অ্যাপস বানানোর জন্য যে কনফিগারেশনের পিসি দরকার সেটা হচ্ছে কমপক্ষে ৮ জিবি র্যাম থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে অন্যতম 4 জিবি র্যাম লাগবে।
যদি আপনার পিসিতে 4GB রেম থাকে তাহলে 3GB রেম অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও নামক সফটওয়্যারটি আছে, যে সফটওয়্যার টা ওপেন হওয়ার সময় নিয়ে নেবে। আর বাকি 1 জিবি র্যাম আপনার ভার্চুয়াল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এর জন্য রাখতে হয় । যদি সম্ভব হয় এসএসডি কার্ড লাগিয়ে নিবেন তাহলে আপনারা সফটওয়্যারটির দ্রুত কাজ করবে।
আমরা বিশেষত অনলাইন ঘাটাঘাটি করে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট দেখতে পাই । যেখানে কোডিং ছাড়াই ড্রাগ এন্ড ড্রপ এর মাধ্যমে অ্যাপস বানানো যায় । যদিও এই মাধ্যমে অ্যাপস বানানো খুবই সহজ কাজ । তারপরও চেষ্টা করবেন এই কাজগুলো পরিহার করার জন্য। কারণ এখান থেকে আপনি যদি কোন সফটওয়্যার বানানো সেগুলো আপডেট করার কোন কিছুই আপনি পাবেন না। সমস্ত কিছুর দায়িত্ব থাকবে তাদের তারা সবকিছু করে দেবে।
Aia File App Publish করলে কি সমস্যা হতে পারে-
আর কখনো চেষ্টা করবেন না কারও কাছ থেকে Aia ফাইল নিয়ে সেটা Import করে Apk বানানোর। কারণ ওই Aia ফাইল যখন আপনি ইমপোর্ট করবেন, ওই অ্যাপস এর প্যাকেজ নামটা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। যার কারণে এই অ্যাপসটি স্টোরে App Publish করার কিছুদিনের মধ্যেই তারা সাসপেন্ড করে দেবে।
গুগল প্লে স্টোর সফটওয়্যার App Publish করার জন্য আপনাকে একটি Google Play Console অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। আর Google Play Console অ্যাকাউন্ট অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য। কিন্তু এটা কখনোই ফ্রী তে আপনি পাবেন না। এটি আপনাকে গুগলের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে, যার মূল্য রয়েছে 25 ডলার।
আর এই 25 ডলার আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে ইন্টারন্যাশনাল কোন ভিসা বা কার্ড মাস্টার কার্ড এর মাধ্যমে। আপনি লোকাল কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট টা কমপ্লিট করতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশের ব্যাংকে থেকে ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড নিয়ে অযথা চেষ্টা করতে যাবেন না।
কারন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে কার্ডগুলো দেবে সেগুলো প্রিপেইড কার্ড। আর গুগোল প্লে কনসলে প্রিপেইড কার্ড সাপোর্ট করে না। আপনি যে কোম্পানির কাছ থেকেই ভিসা কার্ড বা মাস্টার কার্ড নিবেন না কেন খেয়াল রাখবেন সেটা যেন পিপেেইড কার্ড না হয়।
আগে আমাদের বাংলাদেশের সকল ফ্রিল্যান্সার Payoneer মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে গুগল Google Play Console একাউন্ট কিনে নিত। কিন্তু এখন আর সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সেটি প্রিপেইড কার্ড হওয়ায় গুগল প্লে থেকে সেই মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে কোন ট্রানজেকশন আর হচ্ছেনা।
যদি আপনি কার্ডের ব্যবস্থা করতে না পারেন। তাহলে অনলাইনে কিছু কিছু ওয়েব সাইট আছে যেখানে আপনাকে কিছু বেশি টাকা দিয়ে ওয়ান টাইম ইউজ করার জন্য একটি ভার্চুয়াল ভিসা কার্ড কিনে নিতে পারেন । আপনি সেখান থেকে চলে যেতে পারেন। আর কখনো Google Play Console অ্যাকাউন্ট কারো কাছ থেকে কিনতে যাবেন না । কিনলে কি সমস্যা হতে পারে সেটা বলে দেই।
আপনি যদি একই মাস্টার কার্ড কিংবা ভার্চুয়াল ভিসা কার্ড দ্বারা দুটি Google Play Console অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে দুটি Google Play Console অ্যাকাউন্ট গুগোল সাসপেন্স করে দেবে। তাই কারো কাছ থেকে Google Play Console অ্যাকাউন্ট কেনার আগে সতর্ক থাকুন।
Google Play Console অ্যাকাউন্ট অ্যাপ পাবলিশ করার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন সেটি হচ্ছে-
এপিকে ফাইল, অ্যাপস এর আইকন এবং ওই অ্যাপস কোন মোবাইলে ইন্সটল করার পর সেখান থেকে ৭-৮ টা স্ক্রীনশট
স্ক্রিনশট এর পরিবর্তে ইউটিউব ভিডিও দেওয়া যায়।
আর যে বিষয়টা অবশ্যই লাগবে সেটা হচ্ছে আপনার অ্যাপসের প্রাইভেসি পলিসি URL.
এই প্রাইভেসি পলিসি URL. কোথায় পাবেন । যখন আপনি একটা অ্যাপস বানাবেন , সেই অ্যাপস এর নামে একটি ব্লগ স্পটে, ব্লগার একটা ফী ওয়েবসাইট করবেন এবং সেখানে প্রাইভেসি পলিসি নাম একটা পেজ ক্রিয়েট করবেন। সেই প্রাইভেসি পলিসি পেজ এর লিঙ্ক টা দিয়ে দিবেন। গুগল প্লে স্টোরে App Publish করতে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনদিন সময় লাগে। অ্যাপ পাবলিশ করার সাথে সাথে তারা Review নিয়ে নেবে এবং কিছুদিন পর সেটা আপনাকে Publish করে দেবে ।
গুগল প্লে স্টোর ছাড়াও আপনি apkpure.comএবং 9App নামক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেখানে আপনি অ্যাপ পাবলিশ করতে পারবেন।
আর অ্যাপস পাবলিশ করার মূলত উদ্দেশ্য থাকে admob এর মাধ্যমে আয় করা। কিন্তু আমি আপনাকে বলব শুরুতেই admob এড কখনোই লাগাতে যাবেন না।
কিভাবে Play Store App Publish করতে হয়
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ প্লে স্টোরে App Publish করার 10 থেকে 15 দিন অপেক্ষা করবেন এবং সেই অ্যাপটি প্রচুর পরিমাণ ডাউনলোড করার পর তারপরে admob এড কোড গুলো বসাবেন এবং তারপরে অ্যাপসটি আপডেট করে দেবেন।
যদি শুরুতেই আপনাদের এড গুলো বাসানো থাকে তাহলে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হয় ,গুগল এডলিমিট করে দেয়। যার কারণে অ্যাড দেখানো বন্ধ থাকে।
তাই যদি আপনি বিগেইনার লেভেল এর অ্যাপ ডেভলপার হয়ে থাকেন। তাইলে আপনি শুরুতেই StartApp (start.io)অ্যাড নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
StartApp একাউন্ট কখনই সাসপেন হয় না এবং কখনও ডিজেবল হয় না।