এই শতাব্দীর শুরু থেকেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট খাত বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। আর ২০২২ সাল এগিয়ে আসার সাথে সাথে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিবর্তনশীল বাজারের চাহিদা এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স-এর সাথে তাল মিলিয়ে তাদের কাজের প্রক্রিয়া সাজাচ্ছে।
পরিবর্তিত এই সময়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট-এর ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে, তা জানতে হলে কয়েকটি বিষয়ে ধারণা রাখা দরকার।
১. প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ
প্রতিনিয়তই আমাদের হাতে নতুন সব ডিভাইস এবং গ্যাজেট আসছে। আর এসব প্রযুক্তির মধ্যে সমন্বয় আনতে হলে ভবিষ্যতে কোডিংকে অবশ্যই নতুন ধারার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে জাভাস্ক্রিপ্ট, পাইথন, সি++ এবং জাভা-এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
কিন্তু নতুন কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। আর (R), কোটলিন (Kotlin) এবং আরডুইনো (Arduino)-এর মতো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে এখন অনেক কাজ করা যাচ্ছে। ফলে এসব ল্যাংগুয়েজ শেখার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামারদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ২০২২ সালেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
২. ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্ট
বর্তমানে বিশেষভাবে অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস-এর জন্য অ্যাপ ডেভেলপ এবং মেইনটেইন করাটা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এখন নতুন করে অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্ট-এর দিকে ঝুঁকছে। ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজির সাহায্যে একটি কোড বেস দিয়েই একাধিক প্ল্যাটফর্মের জন্য সফটওয়ার ডেভেলপ করা যায়। এতে প্রতিষ্ঠানের রিসোর্স এবং অর্থ সাশ্রয় হয়। আসন্ন বছরগুলিতে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্ট আরো বেশি জনপ্রিয় হবে।
৩. ব্লকচেইন
ব্লকচেইন প্রযুক্তির পিছনে মূল ধারণা হলো, এটি একটি সুরক্ষিত, বিকেন্দ্রিকৃত এবং অপরিবর্তনীয় ডেটাবেজ তৈরি করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের লেনদেন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রেকর্ড করা হয়। এই পদ্ধতি নিশ্চিত করে যে, ব্লকচেইনে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি তথ্য সঠিক। অদূর ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে।
৪. হিউম্যান অগমেন্টেশন
হিউম্যান অগমেন্টেশন নিয়ে কাজ করা প্রযুক্তির বাজার আগামি কয়েক বছরে বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে হিউম্যান অগমেন্টেশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Ai) সংযুক্ত সফটওয়্যার সেলস অ্যাসোসিয়েটসদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও মার্কেটিং টিমকে আরো প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন তৈরিতেও সাহায্য করতে পারে এ ধরনের প্রযুক্তি।
পাশাপাশি এমন প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার এখন বাড়ছে, যেখানে কাজ করতে হলে কোডিং সম্পর্কে কোনো ধারণা না রাখলেও চলে। ফলে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা টিমগুলি কম সময়েই বেশি কাজ করতে পারবে।
মোটকথা, বর্তমানে নতুন সব প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলছে। ফলে আমরা বিভিন্ন শিল্পে এসব প্রযুক্তির প্রয়োগ দেখছি। আর ২০২২ সাল হবে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ক্ষেত্রে উন্নতির একটি বছর। ফলে আগামি বছরে সফটওয়্যার এবং সাধারণভাবে আইটি ক্ষেত্রে নতুন অনেক উদ্ভাবন আসবে।
The Review
Apple AirPods Pro
1. Active Noise Cancellation blocks outside noise, so you can immerse yourself in music 2. Transparency mode for hearing and interacting with the world around you 3. Spatial audio with dynamic head tracking places sound all around you 4. Adaptive EQ automatically tunes music to your ears 5. Three sizes of soft, tapered silicone tips for a customizable fit 6. More than 24 hours total listening time with the MagSafe Charging Case
PROS
- Good fit with three ear tip options
- Sound quality
- Good active noise cancelling
- The pressure-sensitive stems for controls
- Portable charging case (Lightning/wireless)
CONS
- Price
- Charges via lightning cable
- Design not for everyone